রবিবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. এভিয়েশন
  4. কৃষি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. ছবি
  8. জনপ্রিয়
  9. জাতীয়
  10. ডেঙ্গু
  11. ধর্ম
  12. নারী ও শিশু
  13. প্রবাস
  14. প্রযুক্তি
  15. ফটো গ্যালারি

বোনের পর চিকিৎসাধীন ভাইয়ের মৃত্যু

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫ ১:২১ অপরাহ্ণ

Spread the love

সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মিয়া (৩২) নামে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।


বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বান্ড ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, শনিবার সাভার থেকে শিশু ও নারীসহ ১১ জনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। দুপুরে সুমন মিয়া নামে আরো একজন আইসিইউতে মারা গেছেন। তার শরীরে ৯৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এর আগে ভোরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শিউলি আক্তার (৩২) নামে এক নারী মারা যান। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সুমন রহমান ও শিউলি সম্পর্কে ভাইবোন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুইজনে দাড়িয়েছে। অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় এখনও শিউলির স্বামী, দুই সন্তানসহ ৯ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


তাদের মধ্যে শারমিন ৪২ শতাংশ দগ্ধ, সোয়ায়েদ ২৭ শতাংশ দগ্ধ, মনির হোসেন ২০ শতাংশ দগ্ধ, মাহাদী ১০ শতাংশ দগ্ধ, ছাকিন ১৪ শতাংশ দগ্ধ, সোহেল ১০ শতাংশ দগ্ধ, সুরাহা ৯ শতাংশ দগ্ধ, সূর্য বানু ৭ শতাংশ দগ্ধ ও জহুরা বেগমের শরীরে ৫ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে।

নিহতের স্বজনেরা জানায়, শুক্রবার আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় ভাই সুমন রহমানের ভাড়া বাসায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যান শিউলি। বিকেল থেকে বাসায় রান্নাবান্না চলছিল। মশার উপদ্রবের কারণে সন্ধ্যার খানিক আগেই বাসার সব জানালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে রান্নাঘরে আবার গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে বিকট শব্দ হয়। মুহূর্তেই ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাসার সবাই দগ্ধ হন। পরে তাদের আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। গ্যাসের লিকেজ থেকে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে নিহত নারী স্বজনদের ধারণা।
নিহত শিউলি আক্তারের দেবর শেখ মো. জনি জানান, আমার ভাবি তার দুই ছেলে মাহাদী ও সাকিনের মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় সাভারে ভাইয়ের বাসায় শবে বরাতের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বেড়াতে গিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিউলির দুই ছেলেসহ তাদের মামা বড় ভাই সোহেল এবং ছোট মামা সুমন ও দগ্ধ হয়েছে। ভাই আমাদের পরিবারের সবার অবস্থাই খারাপ। পবিত্র রাতে কেন যে এই ঘটনাটি ঘটলো এটা আল্লাহই ভালো জানেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া নরসিংহপুর গোমাইল গ্রামের আমজাদ ব্যাপারীর ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় তলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে ওই রাতেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। রবিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ শিউলি আক্তার মারা যান।

সর্বশেষ - বিনোদন