কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বুরাপাড়া মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদ দখলকে কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জামায়াতকর্মী খোকন মোল্লা(২২) মারা গেছেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ইবনেসীনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোকনের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের পরিবার ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে রোববার (১২ জানুয়ারি) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বুরাপাড়া মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ নিয়ে স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষেরসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনকে কুষ্টিয়ার আড়াইশো শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার সকালে খোকনের অবস্থার অবনতি ঘটলে তার প্রয়োজনীয় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে ওই জামাতকর্মী খোকন মোল্লাকে রাজধানীর ইবনেসীনা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মৃত্যু হয় তার।
সংশ্লিষ্ট মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, রোববার কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনোনয়ন কেনা নিয়ে স্থানীয় জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জামায়াত কর্মী খোকন মোল্লা মারা গেছেন। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নতুন করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থেকেই দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন ওসি।
এ দিকে রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে একপক্ষ অন্যপক্ষকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সোমবার সকাল ১১টায় স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে মিরপুর উপজেলার আমলা বাজারে জামায়াতকে দায়ী করেন বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসিরসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বিকেলে বিএনপিকে দায়ী করে মিরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মিরপুর উপজেলা জামায়াত। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল গফুর বিএনপিকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অন্যদিকে রোববার বিকেলে বুরাপাড়া মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির কোন দায় নেই বলে দাবি করেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান। তিনি বলেন রাশেদ মাহমুদ নাসির নামে মিরপুর উপজেলার সাবেক ছাত্রদল নেতা যা করেছেন তাতে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এর দায় সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত। স্থানীয় জাসদ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।