দোকান বন্ধ করে তালা দিয়ে নামাজে যান বিক্রয়কর্মীরা। এরপর দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় নয়জন লোক। এর মধ্যে সাতজনের মুখ মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল আর বাকি দুজনের মুখে মাস্ক ছিল না। এরপর একজন একটি চাদর মেলে ধরে দোকানের শাটার ঢেকে ফেলেন। আর তখন দুজন চাদরের পেছন দিকে গিয়ে শাটারের তালা কাটেন ও ভেতরে একজন ঢোকেন।
বাকি আটজন আশপাশের দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র কেনার নামে সেসব দোকানের বিক্রয়কর্মীদের ব্যস্ত করে রাখলেন। সাত মিনিট ২৫ সেকেন্ড পরে দোকানের ভেতর থেকে প্রায় ১৫৯ ভরি সোনা নিয়ে বেরিয়ে যান চোর চক্রের এক সদস্য। পরে একে একে ওই জায়গা ছেড়ে গেলেন চোর চক্রের বাকি সদস্যরাও।
গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার সীমান্ত স্কয়ার বিপণিবিতানের ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্স নামে একটি সোনার দোকানে অভিনব কায়দায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। বিপণিবিতানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চুরির এই দৃশ্য ধরা পড়ে। পরে এ ঘটনায় দোকানের মালিক কাজী আকাশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দুপুর ১টা ১ মিনিটের দিকে নয়জন লোক দোকানের সামনে যান। এর সাত মিনিট পর ব্যাগে ভরে সোনা নিয়ে বেরিয়ে যান। তাদের দুজন বাদে সবার মুখে মাস্ক ছিল। চুরির সঙ্গে বিপণিবিতানের ভেতরের কেউ জড়িত কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীম বলেন, সোনার দোকানে চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীমান্ত স্কয়ারে সোনা ও ডায়মন্ডের তিনটি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্স নামের দোকানটি নিচতলায়। এর আশপাশে কাপড় ও প্রসাধনীর দোকান। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রেতা কম ছিল। ক্রেতার বেশে চোর চক্রের সদস্যরা বিপণিবিতানে ঢোকেন।
দোকানের মালিক কাজী আকাশ বলেন, দোকানের শাটারে একটি তালা মেরে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বিক্রয়কর্মীরা। তখন শাটারের একটি তালা কেটে ভেতরে ঢুকে দোকানে সাজানো সব সোনা চুরি করে চোর চক্রের সদস্যরা।
