- ঢাকা পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ খেলা সিলেট স্ট্রাইকার্স নিজেদের মাঠে খেলবে ৫ ম্যাচ
দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর বিপিএলের ঢাকা পর্ব শেষ হয়েছে শুক্রবার। ঢাকা ছেড়ে এবার বিপিএল উত্তাপ ছড়াতে যাচ্ছে চায়ের দেশ সিলেটে। ৩ দিনের বিরতি ও ৬ দিনের মাঠের খেলাসহ মোট ৯ দিনের সিলেট পর্ব শুরু হবে আজ থেকে। যেখানে দিনের প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামবে স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্স। তাদের প্রতিপক্ষ ঢাকা পর্বের তিন ম্যাচের সবগুলোতে জয় ছিনিয়ে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দল রংপুর রাইডার্স। সন্ধ্যার দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুর্বার রাজশাহী এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
‘দুটি কুড়ি একটি পাতা’র দেশে সর্বোচ্চ ৫টি ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এছাড়া রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস ৪টি করে, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও দুর্বার রাজশাহী ৩টি এবং চিটাগাং কিংস সর্বনিম্ন ২টি ম্যাচ খেলবে। ১৩ জানুয়ারি সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচ ডের দুদিন পর থেকে শুরু হবে চট্টগ্রাম পর্ব।
বিগত আসরগুলোতে দর্শকদের রানের ক্ষুধা মিটতো সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এবার অবশ্য ঢাকা পর্বেই সেই স্বাদ পেয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ঢাকায় একদিনের বিরতিতে চার দিনে ম্যাচ হয়েছে ৮টি। যেখানে সবমিলিয়ে এসেছে ২৬৪৮ রান। ম্যাচ প্রতি রানের গড় ৩৩১। আগের আসরে যা ছিল তিনশর নিচে। ইনিংস প্রতি ১৬৫.৫ রান। এর আগের দুই বিপিএল থেকে রানের হিসেবে যা অনেকটাই এগিয়ে। ঢাকা পর্বেই দর্শকরা সাক্ষী হয়ে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকানো ইনিংসের। সর্বোচ্চ ২২৯ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ। বাংলাদেশিদের মধ্যে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২০৬.৮১, শামীম হোসেন ১৯৫.১২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৯৪ ও নুরুল হাসান সোহান ১৮৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে বিনোদন জুগিয়েছেন।
রানবন্যার এমন অবস্থার মধ্যেই এক ম্যাচে ১৯ রানে ৭ উইকেট শিকারের বিরল কীর্তি গড়েছেন গতির তারকা তাসকিন আহমেদ। বিপিএলে এটি সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড তো বটেই, টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেই তৃতীয় সেরা বোলিংয়ের কীর্তি। গতি আর বাউন্সে ব্যাটসম্যানদের মনে কাঁপন ধরিয়ে নাহিদ রানা দিয়েছেন তিন ম্যাচে ৬ উইকেট। স্পিনে যথারীতি রহস্য ছড়ানোয় সফল হয়েছেন আলিস আল ইসলাম। কিপটে বোলিং করে শেখ মেহেদি হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজরাও দেখিয়েছেন নিজেদের স্বরূপ।

প্রতিবার বিপিএলে উইকেট নিয়ে ওঠা নানা সমালোচনা নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক ছিল বিসিবি। যা ফুটে উঠেছে সভাপতি ফারুক আহমেদের বক্তব্যে, ‘নির্দেশনাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক জায়গা থেকে তিন-চার রকম নির্দেশনা গেলে কিউরেটরের জন্যও কাজটা কঠিন। আমি চিন্তা করেছি, এবার দেখতে চাই ভালো ব্যাটিং উইকেট। সেই সঙ্গে উইকেটে যেন বাউন্সও থাকে। এ ধরনের উইকেটে খেলা আমাদের প্রয়োজন। এতে করে বোলাররাও শিখবে, কীভাবে ভালো ব্যাটিং উইকেটে বল করা যায়। আর ব্যাটসম্যানরা তো শিখবেই।’
রংপুর ছাড়াও ঢাকার প্রথম পর্বে শতভাগ জয় পেয়েছে খুলনা। তারা দুই ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে। ২ ম্যাচ খেলে এক জয় ও এক হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে চিটাগং। কিংসদের সমান ম্যাচ খেলে ফরচুন বরিশালেরও সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। তারা আছে টেবিলের চারে। ৩ ম্যাচ শেষে বিপিএলে রাজশাহীর হার দুটি। এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে দুর্বারদের অবস্থান টেবিলের পাঁচে। স্বাগতিক হওয়া সত্ত্বেও ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচ খেলে জয়ের মুখ দেখেনি ঢাকা। একই দশা সিলেটেরও। এই দুই দলই অবস্থান করছে টেবিলের একদম তলানিতে। সিলেটে ফিরে এসে খামতিটুকু পুষিয়ে নিতে চাইবেন এ দুই দলের ক্রিকেটাররা। সেই সঙ্গে চায়ের দেশে বিপিএল কাপেই ধোঁয়া ওঠা দেখতে চাইবেন সিলেটবাসীরা।
