জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের সাথে পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকায় স্থানীয় বিএনপি নেতা শহিদুল হক সহিদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর দুই পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে অন্তত ৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টা দিকে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় কথা কাটাকাটির জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শহিদুল হক সহিদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ওয়ারি থানার ৩৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সম্রাটকে মারধর করেছে পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকার স্থানীয় বিএনপি নেতা শহিদুল ও স্থানীয় লোকেরা। এসময় সম্রাটকে ছাড়িয়ে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে ইতিহাস বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিবসহ দুইজনকে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এই নেতার বিরুদ্ধে। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে শহিদুলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের হামলা করে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সম্রাট ধোলাইখাল এলাকার একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভুলক্রমে নির্মাণাধীন এক ঢালাইয়ের উপরে পা দেন। এতে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে ধাক্কা দিলে সেও প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এরপর স্থানীয় লোকজন মিলে এই শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের কল দিলে হাবিবসহ দুইজন ঘটনাস্থলে আসেন।
এরপর স্থানীয় লোকজন হাবিবসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থীকে মারধর করে আটক করে রাখে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা হাবিবকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির এক শিক্ষার্থী হাসান সজীব বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসছে। তারা অভিযুক্ত শহিদুল নামের সেই লোকের বাড়িতে গেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, আমি কোতোয়ালি, সূত্রাপুর, বংশাল, ওয়ারি থানা সবাইকে কল দিয়েছি। তারা ফোর্স পাঠাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আহত শিক্ষার্থীকে ন্যাশনাল মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে সহকারী প্রক্টররা আছেন। আমি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, অভিযুক্তকে ধরতে কিছুক্ষণের ভেতর অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমাদের সিনিয়র অফিসাররা আসছেন তারা আসলেই অভিযান শুরু হবে।