কলকাতার বুকে হাড়হিম করা ঘটনা। নিজের খালার মাথাকাটা দেহাংশ ট্রলি ব্যাগে ভরে কলকাতার আহিরীটোলা গঙ্গা নদীর কুমোরটুলি ঘাটে ফেলতে গিয়ে আটক হয়েছেন দুই নারী। তারা সম্পর্কে মা ও মেয়ে।
ধৃত মায়ের নাম আরতি ঘোষ ও মেয়ের নাম ফাল্গুনী ঘোষ। আর যার মরদেহ পাওয়া গেছে তিনি সম্পর্কে আরতি ঘোষের বোন, তার নাম সুমিতা ঘোষ। তারা সবাই উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের কাজীপাড়া বাসিন্দা।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে আরোহীটোলার কাছে গঙ্গা নদীর কুমোরটুলি ঘাটের ধারে দুই নারীকে একটি নীল রঙের ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তারা ওই দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথায় সন্দেহ হওয়ায় ব্যাগটি খুলতেই শিউরে ওঠেন স্থানীয়রা। ব্যাগের ভেতরে ছিল মাথাবিহীন টুকরো করা একটি মরদেহ।
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দুই নারীকে আটক করে। যদিও ধৃতদের দাবি, ট্রলি ব্যাগে থাকা দেহটি তাদের পোষা কুকুরের।
মধ্যমগ্রামের কাজীপাড়া বাসিন্দা প্রকাশ রাহা বলেন, একটি মেয়ে তার খালাকে নিয়ে এখানে থাকতেন। মাঝে মধ্যে আরেকজন নারীও আসতেন। আমরা জানতে পেরেছি, এখানে অসামাজিক কাজকর্ম হতো। কুমারটুলির লোকেরা যখন হাতেনাতে তাকে ধরেছে, অবশ্যই তার শাস্তি হবে।
আরেক বাসিন্দা বৈশাখী দাশ জানান, মেয়েটা মাঝে মধ্যে বাড়ি থেকে বের হতো। তবে কী করতো জানি না। তার মায়ের স্বভাব ভালো ছিল না। প্রায়ই স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে না বলে ঢুকে যেতেন এবং ফলমূল না বলে তুলে নিয়ে আসতেন। আড়াই বছর ধরে আমাদের এখানে তারা থাকতেন। আমরা পাড়ার সবাই আতঙ্কে রয়েছি এমন একটি ঘটনা ঘটলো বলে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর বলা যাবে কীভাবে কী ঘটেছে?