সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. এভিয়েশন
  4. কৃষি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. ছবি
  8. জনপ্রিয়
  9. জাতীয়
  10. ডেঙ্গু
  11. ধর্ম
  12. নারী ও শিশু
  13. প্রবাস
  14. প্রযুক্তি
  15. ফটো গ্যালারি

ভোটাধিকার ফিরিয়ে না দিলে আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করা হবে

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫ ১:৪৬ অপরাহ্ণ

Spread the love

অন্তর্বর্তী সরকার যদি জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে না দেয় তবে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিন।

তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির সমর্থিত ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাটের তিস্তা রেলসেতু সংলগ্ন এলাকায় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, লড়াই না করে কিছু পাওয়া যায় না। লড়াই করেই আমাদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। তিস্তা নদীর পাড়ের মানুষদের আর দুঃখ যায় না। বহুদিন ধরে আমরা তিস্তার ন্যায্য হিস্যার জন্য আমরা কথা বলে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, গত সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল মনে হচ্ছিল এবার বুঝি তিস্তা চুক্তি হবে। গত ১৫ বছর বাংলাদেশকে বেঁচে দিয়েছে কিন্তু তিস্তার এক ফোঁটা পানিও আনতে পারেনি। শুধু তিস্তা নয় বাংলাদেশের উজানে ৫৪টি নদীতে তারা বাঁধ দিয়েছে। এসব নদীতে থেকে তারা একতরফা পানি তুলে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আর আমাদের দেশের মানুষ পানির অভাবে ফসল ফলাতে পারে না। জেলেরা মাছ ধরতে পারেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা তো বলেন আপনারা নিরপেক্ষ সরকার। এখানে আপনাদের মুখ খুলতে হবে। ভারতকে চাপ দিতে হবে। ভারতকে বলতে হবে আমরা আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা চাই।

ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চান তাহলে তাড়াতাড়ি তিস্তার পানি দেন। সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করেন। আমরা ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই তবে সে বন্ধুত্ব হবে পাওনা বুঝে নিয়ে সম্মানের সঙ্গে।

নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান ও বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। অন্যান্যদের মধ্যে একই মঞ্চে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও নদীপাড়ের ভুক্তভোগী নুর বকস। 

কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিস্তার বুকে মঞ্চ তৈরি, খাবার ব্যবস্থা, তাঁবু টানিয়ে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাবেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষক, মৎস্যজীবী, পরিবেশকর্মী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যরা এক কাতারে সামিল হয়েছেন শুকিয়ে যাওয়া তিস্তাকে রক্ষার দাবিতে।

তিস্তা নদীর দুই পাড়ের ৫টি জেলার ১১টি পয়েন্টে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার ১১টি পয়েন্টে করা হয়েছে মঞ্চ ও থাকার ব্যবস্থা। তিস্তাপাড়ের মানুষ তাদের দাবি আদায় করতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সব বয়সী মানুষ দলে দলে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে তিস্তা নদীর ১২৫ কিলোমিটারের দুই তীর।

সর্বশেষ - বিনোদন