শনিবার , ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. এভিয়েশন
  4. কৃষি
  5. খেলাধুলা
  6. ছবি
  7. জনপ্রিয়
  8. জাতীয়
  9. ডেঙ্গু
  10. ধর্ম
  11. নারী ও শিশু
  12. প্রবাস
  13. প্রযুক্তি
  14. ফটো গ্যালারি
  15. বানিজ্য/অর্থনীতি

আশুলিয়ায় আন্দোলনে নিহত ৪ জনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫ ১:২৮ অপরাহ্ণ

Spread the love

সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে থানার ভেতর ভ্যানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া ৪ জনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে থেকে সাভারের পবনার টেক, বুড়িরবাজার আমবাগান কবরস্থান ও ইউনিক চাড়ালপাড়া এলাকার দরগারপার কবরস্থান থেকে লাশগুলো উত্তোলন করা হয়।

এর মধ্যে ভাদাইল পবনার টেক থেকে আশরাফুল ইসলাম, দরগারপার কবরস্থান থেকে জাহিদুল ইসলাম সাগর (২৮), আমবাগান কবরস্থান থেকে আবুল হোসেন (৩৪) ও অজ্ঞাত পরিচয় আরেকজনের লাশ উত্তোলন করা হয়।

এদের মধ্যে নিহত আবুল হোসেন (৩৪) কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর থানার ফুলঘর গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে এবং  জাহিদুল ইসলাম সাগর (২৮) রংপুরের বদরগঞ্জ থানার হাটখোলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

লাশ উত্তোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তার বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা আন্দোলনে নিহত ৪ জনের লাশ উত্তোলন করেছি। এর আগে নিহতের স্বজনরা আদালতে মামলা করলে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ প্রদান করেন। আমরা উত্তোলন করা লাশগুলোর সুরতহাল শেষে ডিএনএ টেস্ট ও ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি। 

এদিকে লাশ উত্তোলনের সময় কবস্থানের পাশেই নাবালক দুই সন্তান নিয়ে দাড়িয়ে চোখের পানি ফেলছিলেন নিহত আবুল হোসেনের স্ত্রী লাকি আক্তার। তিনি বলেন, দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন আমার স্বামী। আমার ছোট ছেলেটার ৬ মাস বয়স হওয়ার আগেই তার বাবা মারা গেল। এখন দুটি সন্তানকে আমি কীভাবে মানুষ করবো। 

লাকি আক্তার বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তার স্বামী। এরপর তার লাশ থানার ভেতরে ভ্যানে রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আমি চাই আমার স্বামীর লাশটি আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক এবং দুই ছেলেকে নিয়ে চলার জন্য সরকার একটা ব্যবস্থা করে দিক। 

স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, আগুনে পোড়ানো লাশের ভিডিও দেখে আমি অনেক কান্না করেছি। কার লাশ এভাবে পুড়ানো হলো প্রথমে জানা যায়নি। পরে ৪টি লাশের সাথে আইডি কার্ড থাকায় পরিবারের লোকজন তাদের লাশগুলো শনাক্ত করে নিয়ে যায়। এরা সবাই ছাত্র ছিল। বাকি দুটি লাশের পরিচয় না পাওয়ায় ৬ তারিখ রাতে আমবাগান কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আশুলিয়া থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, গত ৫ আগস্ট নিহতদের সুরতহাল এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। সুরতহাল করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয় ও পরিচয় শনাক্তের জন্য  আজ আদালতের নির্দেশে ৪ জনের লাশ তোলা হয়েছে।  

সর্বশেষ - অপরাধ