চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ট্রিপল মার্ডারসহ এক ডজন মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতির ছয় সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন কুলগাঁও খলিল শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- মো. আসিফ, মো. হাসান, মো. ফয়সাল, আজিম উদ্দিন, মো. রিফাদ ও মো. জুয়েল।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের দামপাড়া কার্যালয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) রইছ উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ধৃতরা দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি ছোট সাজ্জাদের সহযোগী। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও পথচারীসহ লোকজনের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। তাদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।
ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। অপরাধজগতে পা রেখে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সাজ্জাদ। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির এক ডজন মামলা রয়েছে। গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বায়েজিদ বোস্তামি থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে তিনি। ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় সাজ্জাদকে পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রইছ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের সহযোগীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ছয়টি কিরিচ, দুটি চায়নিজ কুড়াল, দুটি কাটার, একটি ড্রিল মেশিনসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে থানায়। সাজ্জাদসহ তার সহযোগী পলাতক বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।