বৃহস্পতিবার , ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. এভিয়েশন
  4. কৃষি
  5. খেলাধুলা
  6. ছবি
  7. জনপ্রিয়
  8. জাতীয়
  9. ডেঙ্গু
  10. ধর্ম
  11. নারী ও শিশু
  12. প্রবাস
  13. প্রযুক্তি
  14. ফটো গ্যালারি
  15. বানিজ্য/অর্থনীতি

ট্রাম্পের শুল্ক নীতি, বিশ্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হবে

প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫ ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

Spread the love

৯০ বছর আগে গ্রেট ডিপ্রেশন নিয়ে একটি জরিপ চালিয়ে ছিলেন ফ্র্যাঙ্কলিন ডেলানো রুজভেল্ট। এতে ওই অবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ দায়ী করা হয়। সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশ্বের কয়েক দশক সময় লেগে ছিল। ২০২৫ সালে সুবিধা থেকে সুরক্ষাবাদের বিপদগুলো ব্যাপকভাবে পরিষ্কার হওয়া উচিত। ট্রাম্প যদি তার নীতিতে অনড় থাকেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ফের একই ধরনের ভুল করতে চলেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রকৃতপক্ষে কত দূর যেতে পারেন সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই ট্রাম্প সব ধরনের আমদানির ওপর শুল্কারোপ করে দেননি সেটা বিনিয়োগকারী ও কূটনীতিকদের জন্য কিছুটা স্বস্তির। শুল্ক হবে ডিকশনারির সবচেয়ে সুন্দর শব্দ ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা ভুলে গেলে চলবে না, যা প্রটেকশনিজম বা সুরক্ষাবাদকে বাড়াবে। তিনি মনে করছেন বেশ কিছু লক্ষ্য অর্জনের জন্য খুব সাধারণ একটি অস্ত্র হতে পারে শুল্ক। বিশেষ করে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, পুনরায় দেশকে উৎপাদন হাব বানানো ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি। তবে তার এই সব ধারণাই ভুল।

শুল্কের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের একটি সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তখনও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমেনি। এর একটি কারণ হলো যখন শুল্ক আরোপ করা হয় তখন ডলারের হার বেড়ে যায়। শুল্কের কারণে আমদানি করা পণ্যের ওপর আমেরিকানদের চাহিদা কমে যায়। এতে বিদেশি মুদ্রার চাহিদাও কমে যায়। যখন ডলার কম বিক্রি হয় তখন মুদ্রাটির দামও বেড়ে যায়। ফলে মার্কিন রপ্তানির ওপর বৈশ্বিক চাহিদায় মন্দা দেখা যায়। সবকিছু মিলিয়ে যে ফলাফল আসে তাহলো যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব থেকে কেনেও কম বিক্রিও করে কম।

সত্যিকার অর্থেই যদি বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চায় তাহলে আমেরিকাকে মৌলিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে দেশটি সেভিংস হার বাড়াতে পারে অথবা বিনিয়োগ কমাতে পারে। তবে দুইটি পরিবর্তনই কাঙ্খিত নয়। বিশেষ করে উচ্চ বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ যদি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশটি আধিপত্য ধরে রাখতে চায়। যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বাণিজ্য ভারসাম্যের জন্য কেবল একটি বিষয়ের ওপর নজর অর্থনীতির প্রকৃত শক্তির ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

সাম্প্রতিককালের শুল্ক রেকর্ড থেকে দেখা গেছে, এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তেমন কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্ট হয়নি। ট্রাম্পের প্রথম শুল্ক নীতি যখন কার্যকর হয়েছিল তখন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান কমে যায়। যেসব কোম্পানিকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষে শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল তাদের রাজস্ব প্রকৃত অর্থে বেড়ে ছিল। কিন্তু এতে বহু ডাউন স্ট্রিম কোম্পানিকে অতিরিক্ত ইনপুট খরচের জন্য ভুক্ত হয়েছে।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দেখা গেছে, অতিরিক্ত শুল্কের কারণে আমদানি খরচ বাড়ায় মার্কিন ভোক্তাদের খরচ বেড়ে যায়। মূলত শুল্ক নীতি মার্কিন অর্থনীতে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে না। বাস্তবতা হলো অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে আমদানি একই রকম থাকবে না। কারণ তখন আমদানি খরচ বেড়ে যাবে। এতে কর্মসংস্থানও তৈরি হবে না, সরকারের রাজস্বও বাড়বে না।

ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের অনেকেই ১৯ শতকের আমেরিকার অর্থনীতিকে স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচেনা করেন। বলা হয় সেই সময় শুল্ক উচ্চ ছিল ও প্রবৃদ্ধিও শক্তিশালী ছিল। মূলত তারা ওই সময়টাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। আসলে ওই সময়ের শুল্ক কম উৎপাদনখাতের কোম্পানিগুলোকে সুরক্ষা দেয় ও জীবনযাত্রার খরচও বেড়ে যায়।

সর্বশেষ - অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

জিয়া সাইবার ফোর্স ধানমন্ডি শাখার সাংগঠনিক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

বোনের পর চিকিৎসাধীন ভাইয়ের মৃত্যু

গঠনমূলক সমালোচনা করেন, প্রশংসার দরকার নেই: সাংবাদিকদের প্রেস সচিব

ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ নিজেরাই কবরে ঢুকে গেছে: প্রিন্স

২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি: শেখ হাসিনা

ইসরায়েলের সৃষ্টি জাতিসংঘের সিদ্ধান্তেই নেতানিয়াহুর মনে রাখা উচিত

পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

নিজেকে ‘অশিক্ষিত’ দাবি করে টুইঙ্কল সম্পর্কে যা বললেন অক্ষয়

ডিসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত কমিটি গঠন

ই-ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে জবির নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার