মঙ্গলবার , ৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. এভিয়েশন
  4. কৃষি
  5. খেলাধুলা
  6. ছবি
  7. জনপ্রিয়
  8. জাতীয়
  9. ডেঙ্গু
  10. ধর্ম
  11. নারী ও শিশু
  12. প্রবাস
  13. প্রযুক্তি
  14. ফটো গ্যালারি
  15. বানিজ্য/অর্থনীতি

বাংলাদেশে বয়কটের ডাক পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে ভারত

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ৭, ২০২৫ ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

Spread the love
  • টনপ্রতি পেঁয়াজের দাম ১০০ ডলার কমালো ভারত
  • দেশে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে

ভারতের মসলাজাত পেঁয়াজ রপ্তানির বৃহৎ বাজার বাংলাদেশ। সম্প্রতি দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে দেশটির পণ্য বয়কটের ডাক দেয় বাংলাদেশের মানুষ। এরই মধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বাজার নিয়ে শঙ্কা তৈরি ও পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ভারত। অনেকটা চাপে পড়েই কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে পণ্যটির ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য কমিয়েছে ভারত। ১০০ মার্কিন ডলার কমিয়ে ৩০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে, যা গতকাল থেকেই কার্যকর হতে শুরু হয়েছে। তাতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি যেমন বাড়বে তেমনি দাম কমে আসবে বলে দাবি বন্দরের আমদানিকারকদের।

ভারতের হিলির সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট অনিল সরকার বলেন, এতদিন ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ ছিল ৪০৫ মার্কিন ডলার। এর নিচে কোনো এলসি গ্রহণ করছিল না সেই অবস্থা থেকে বর্তমানে রপ্তানি মূল্য ১০০ ডলার করে কমিয়েছে ভারত সরকার। এখন প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৩০৫ মার্কিন ডলার করে নির্ধারণ করেছে, যার ফলে এখন থেকে ৩০৫ মার্কিন ডলার মূল্যে এলসি গ্রহণ করা হবে। তবে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে যে রপ্তানি শুল্ক সেটি আগের মতোই আছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সররবাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা। এর আগে পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৪০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত। নির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি করায় বাড়তি দাম পড়ে পণ্যটির। ফলে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম বাড়তি ছিল। তবে দেশের বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ে। তাতে চাহিদা কমে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের দাম ভোক্তার নাগালে আসে। তাতে বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানে পড়েছে অনেক আমদানিকারক।

এদিকে ভারত সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক অর্ধেকে নামবে। পাশাপাশি ট্রাকপ্রতি ৪ লাখ টাকার কম এলসিতে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবে ব্যবসায়ীরা। তাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।

এ বিষয়ে বন্দর ব্যবসায়ী মোবারক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৪০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ থাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতে রপ্তানি শুল্ক দিতে হতো ১০ টাকার মতো। বর্তমানে দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় কৃষকরা আন্দোলন শুরু করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিলে অনেকটা চাপে পড়েই ভারত সরকার টনপ্রতি রপ্তানি মূল্য ১০০ মার্কিন ডলার করে কমিয়েছে। তাতে পণ্যটির দাম যেমন কমল তেমনি ভারত যে রপ্তানি শুল্ক রয়েছে সেটি কমে আসবে। তাছাড়া বর্তমানে প্রতি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আগের চেয়ে ৪ লাখ টাকা করে কমে এলসি খোলা যাবে।

এর আগে গেল অক্টোবরে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৪০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত সরকার। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতিযোগিতা দিয়ে বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হয়েছিল ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। সে সময় সরকার দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে শুল্ক কমায়। তাতে তেমন একটা লাভ হয়নি। উল্টো পেঁয়াজের চড়া মূল্যে ভোক্তাকে চরমভাবে ভুগিয়েছে।

সর্বশেষ - অপরাধ