রবিবার , ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. এভিয়েশন
  4. কৃষি
  5. খেলাধুলা
  6. ছবি
  7. জনপ্রিয়
  8. জাতীয়
  9. ডেঙ্গু
  10. ধর্ম
  11. নারী ও শিশু
  12. প্রবাস
  13. প্রযুক্তি
  14. ফটো গ্যালারি
  15. বানিজ্য/অর্থনীতি

১৫ পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, কারাগারে সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ৫, ২০২৫ ৪:৫১ অপরাহ্ণ

Spread the love

আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে দেশব্যাপী আলোচিত সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৫ পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও আগ্নেয়াস্ত্র লুণ্ঠন মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার পৌর এলাকার কামারপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে যৌথবাহিনী তাকে আটক করে। গত ৪ আগস্ট সরকার পতনের আগের দিন এনায়েতপুর থানায় ১৫ পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রায় ৫ মাস পর ওই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ সংক্রান্ত মামলাটিতে এনায়েতপুর থানার ৪ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও সাড়ে ৬ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী এনায়েতপুর থানার আজুগরা গ্রামের বদিউজ্জামান ফকির ও ধনকুপ ছালাম ফকিরের সহোদর বড় ভাই বালুখেকো মান্নান ফকির গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন জানান, এনায়েতপুর থানার ১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে সেনা নিয়ন্ত্রিত যৌথবাহিনীর একটি টিম সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে রবিবার দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করেছে। এরপর তাকে জেলা সদরের সেনাক্যাম্পে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে এনায়েতপুর থানার ১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। 

এদিকে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক অন্যান্য মন্ত্রী-এমপি ও নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকা থেকে সটকে পড়লেও প্রবীণ এ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। স্থানীয়দের মতে আর এটিই শেষ পর্যন্ত তার কাল হলো। 

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে তিনি দুইবার এমপি নির্বাচিত হলেও নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। তারপরেও তিনি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সহধর্মিনী বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, আমার স্বামী একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। যতদূর জানি তার নামে উল্লেখযোগ্য কোনও মামলা নেই। নিজের লাইসেন্সকৃত দুইটি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরকারের ঘোষিত সময়ের মধ্যেই থানায় জমা দেওয়া হয়। তারপরও আমার স্বামী স্থানীয় রাজনৈতিক রোষানল ও ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন। 

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া হোসেন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা এবং ১৫ পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সর্বশেষ - অপরাধ