ইরান জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল তাদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় নিশানা ছিল দেশের পারমাণবিক প্রকল্প ও অস্ত্র ভাণ্ডার। ইরানের সামরিক বাহিনী অভিযোগ করছে যে, এই হামলা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুতর হুমকি।

ইরানের মিডিয়া সূত্রে বলা হয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল কেরাজ ও নাতাঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলি। এর ফলে ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের টানাপোড়েন আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে।
ইরানের সামরিক সূত্র জানাচ্ছে, ইসরায়েল তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলা চালিয়েছে। এই হামলা ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর অন্তত তিনটি মিসাইল ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে। এই হামলাগুলি ইরানের সামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে একটি নতুন পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। ইরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছে।

ইসরায়েল সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরানের উপকণ্ঠে অবস্থিত গোপন পার্চিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় ব্যবহৃত ড্রোনগুলোর মধ্যে অন্তত একটি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে, অন্যগুলোকে ইরান ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
২০২২ সালে এই ঘাঁটিতে আগের এক ড্রোন হামলায় একজন প্রকৌশলী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। ইরান সরকার এই নতুন হামলাকে তাদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ঘটনায় ইরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও সহায়তার দাবি জানাতে পারে, কারণ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
ইরানে গোপন পার্চিন সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এই হামলা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উত্তেজনা দুই দেশের মধ্যে নতুন সংঘাতের সূচনা করতে পারে, যা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক হামলাগুলোর প্রেক্ষাপটে ইরান তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এই পরিস্থিতির গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

ইরানে গোপন পার্চিন সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এই হামলা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উত্তেজনা দুই দেশের মধ্যে নতুন সংঘাতের সূচনা করতে পারে, যা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক হামলাগুলোর প্রেক্ষাপটে ইরান তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এই পরিস্থিতির গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।