জাকিয়া বারী মম। অভিনেত্রী। দেশের রাজনৈতিক সংকটের কারণে বেশ ক’মাস বিরতি কাটিয়ে কাজে ফিরেছেন। যুক্ত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য হিসেবে। কথা হলো তাঁর সঙ্গে–
আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। আমি শুটিংয়ের কাজে ঢাকার বাইরে থাকায়, প্রথম মিটিং অনলাইনে করেছি। এ কমিটির কনিষ্ঠতম সদস্য আমি। সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। দেশের মানুষের টাকায় যে সিনেমা নির্মিত হবে, সেটি যেন ভালো কিছুই হয়, সে লক্ষ্যেই কাজ করব আমরা।

আবারও কাজ শুরু করেছেন?
হ্যাঁ। বলা যায় পুরোদমে কাজ করছি। এই যেমন এখন দীপ্ত টিভির জন্য একটি কাজ করছি। নাম ‘এগিয়ে যাও আত্মবিশ্বাসে’। রুবায়েত মাহমুদ পরিচালিত এই কাজে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নারীর আত্মবিশ্বাসের গল্প তুলে ধরা হচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি ‘রিমান্ড’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ শুরু করেছি। রাজনীতি ঘিরে ধারাবাহিকটির গল্প।
আপনাকে কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও পাওয়া যাচ্ছে?
ছোটবেলা থেকেই নাচ, গান, অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ১৯৯৫ সালে নতুন কুঁড়ি অনুষ্ঠানে গান গেয়ে পুরস্কারও পেয়েছি। পরবর্তীকালে গানে আর সেভাবে আমায় পাওয়া যায়নি। বড় হয়ে নাচ আর অভিনয় নিয়েই ছিলাম। এরপর একটি নাটকের গানে কাজ করেছি। এরপর অভিনেতা ইমতিয়াজ বর্ষণের অনুরোধে দীর্ঘদিন পর আবারও গান করলাম। আহমেদ রাজিবের সংগীতায়োজনে রবীন্দ্রসংগীত ‘তোমার খোলা হাওয়া’ গেয়েছি।

এখন থেকে নিয়মিত গানে পাওয়া যাবে…
আমি তো এখন সংগীতশিল্পী নই। ছোটবেলায় গানের চর্চা থাকলেও বহু বছর গানের সঙ্গে নেই আমি। তবে ‘তোমার খোলা হাওয়া’ গানটির স্টুডিও ভার্সন প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ফলে আমার মনে হয়, এখন থেকে নিয়মিত গানের অনুশীলন করব। নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করে অভিনয়ের পাশাপাশি আরও গান করব।’
ক্যারিয়ারের প্রায় দেড় যুগ পার করছেন। কী মনে হয়?
আমি এখনও সেই আগের মম হয়েই আছি। শুধু অভিজ্ঞতা একটু বেড়েছে। টিভি, সিনেমা, ওটিটিতে বেশ কিছু বৈচিত্র্যময় চরিত্রে কাজ করেছি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আমার অপ্রাপ্তি নেই, যা আছে, সবই প্রাপ্তি। সবাই আমায় যে ভালোবাসা দিয়েছেন, তাদের ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দেওয়ার নেই
