ব্যাটে রান নেই, দীর্ঘদিন ধরেই ফর্মহীনতায় ভুগছেন বাবর। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর থেকে টেস্টে একটা হাফসেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। ফলে তার বাদ পড়ার প্রসঙ্গটা আর অমূলক রইল না। তবু পাকিস্তান ফর্মে থাকলে এটা তোলাই রাখা যেত। শান মাসুদের দলও যে নাস্তানাবুদ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
গত বছর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে নেতৃত্বভার গ্রহণ করেছিলেন মাসুদ। ওই সফরে তিন ম্যাচের সব কটিতেই হারে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ৩৬০ রানের বড় হার, দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৯ রান ও তৃতীয় ম্যাচে হার ৮ উইকেটে। এরপর ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। তাতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে ম্যান ইন গ্রিনরা। ওই সমালোচনা কয়েকগুণ বাড়ল ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায়।
মুলতান টেস্টে ৫৫৬ রান করেছিল পাকিস্তান। বিশাল এই সংগ্রহ সত্ত্বেও হারতে হয় তাদের। ইংল্যান্ড ৮২৩ রানের পাহাড় চাপায় তাদের ওপর। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ইংল্যান্ড জিতে ইনিংস ও ৪৭ রানে। ধারাবাহিকভাবে এমন পারফরম্যান্সের পর বাবরদের সমালোচনা প্রাপ্য।
সমালোচনা শুনেই ছাড় পাচ্ছেন না সাবেক অধিনায়ক। তাকে দল থেকেই ছাঁটাই করে ফেলার পথে হাঁটছে আকিব জাভেদ, আসাদ শফিক, আজহার আলী, আলিম দারের সমন্বয়ে গঠিত নতুন নির্বাচক কমিটি। যদিও শান মাসুদ ও কোচ জেসন গিলেস্পি বাবরকে রাখার পক্ষে। কিন্তু নির্বাচক কমিটির অধিকাংশই চান বাবরকে বাদ দিতে। খবর ইএসপিএনসহ একাধিক গণমাধ্যমের।